ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ঘন্টায় ২৭ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ।
শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। এজন্য উপকূলীয় ১৯ জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন ডা. এনামুর রহমান।
‘কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছি বাংলাদেশ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ ১৮০ কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়েছি ফণী ওড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হেনেছে। এরপর যদি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে, তাহলে দুর্বল হয়ে যাবে, তাতে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যাবে।
যদি উত্তরে সরে যায় তাহলে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে।
এদিকে ফণীর কারণে আগামী ৩ ও ৪ মে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর খোলা থাকবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত দু’টি অফিস আদেশ জারি করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ইতোমধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুনঃ এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ০৬ মে মধ্যে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার বিকেলের দিকে ভারতের ওড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে ওইদিন সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর অফিস আদেশে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব শাখা ১ মে থেকে প্রতিদিন খোলা থাকবে।
একই সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয় ও জরুরি সাড়াদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১ মে থেকে সব ছুটি বাতিলের কথাও জানানো হয় ওই অফিস আদেশে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আশঙ্কা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল নৌযান বন্দরে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি তথ্য ও নির্দেশনা আদান-প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থায় কন্ট্রোল রুম খোলা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া উপকূলীয় ১৯ জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম), ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আরো জানা গেছে, রেড ক্রিসেন্টের কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।
উপকূলীয় আর্মি স্টেশনগুলোতেও ঢাকা থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
উপকূলীয় জেলার প্রশাসকদের কাছে ২০০ টন চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে ৫ লাখ করে টাকাও দেয়া আছে। একইসঙ্গে ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্যালাইনের জন্য সুপেয় পানির জন্য পানির ট্রাক পৌঁছে দেয়া হয়েছে।–গো নিউজ২৪